Wednesday, February 6, 2019

সিজারে বাচ্চা নেওয়ার অপর নাম নীরব মৃত্যু?


আমার এক বান্ধবী হলিক্রস মেডিকেল এর চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন। গত মাসে তার ফুটফুটে পুত্র সন্তান হয়। এর আগে একসময় আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম- সিজারে অনেক বাচ্চাই তো পৃথিবীতে নিয়ে আসলি অপারেশন করে, এখন তোর সিজার কোন চিকিৎসক করবে?

উত্তরে জানায়- নরমাল ডেলিভারি'র জন্য প্রিপারেসন নেওয়া হয়েছে ।
কারণ? সিজারে বাচ্চা হলে একজন নারী ২য়, ৩য় বার পুনরায় মা হতে গেলে ঝুঁকি থাকে ৯০.৭ % । অনেক সময়েই বাচ্চার শরীর ছুরি, কাচি লেগে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতি হয় যা আমাদের দেশের চিকিৎসকগণ কাউকেই বলেন না!

অর্থের লোভে প্রত্যেক গর্ভবতী মা কে মেডিকেল চেকাপ এর আগে থেকেই বলে রাখা হয় সিজারে বাচ্চা নিতে হবে অন্যথায়! মৃত্যু ঝুঁকির ভয় দেখানো হয়। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা WHO জানিয়েছে একটি দেশের ১৫% মেয়ে যদি একান্তই না পারে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতে বাচ্চা নিতে, সেক্ষেত্রে সিজার করাতে হবে।

আমাদের দেশে বর্তমান সিজারে বাচ্চা হচ্ছে সে অনুপাতে ৯৭.৩% যা নারীস্বাস্থ্য'র জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই সিজারে বাচ্চা নিতে গেলে যেমন মা মারা যায় বেশীরভাগ সময়, তেমনি ক্ষতি হয় নব জন্ম নেওয়া শিশুটিরও।

সিজারে হওয়া বাচ্চা অনেক বেশী অসুস্থ থাকে একটু খেয়াল করে দেখবেন, যা নরমালে হওয়া বাচ্চাদের খুব একটা হয় না। প্রতি বছর সিজারে বাচ্চা হতে গিয়ে মারা যায় আমাদের দেশে ২৭.৯% মা, শিশু। এ ছাড়াও সিজার অপারেশনে রোগীর জন্য রক্ত চাওয়া হয় অনেক সময়ই ১০-১৫ ব্যাগ, যার মধ্যে বড়জোর ২ব্যাগ রক্ত কাজে লাগিয়ে অন্যগুলো বিক্রি করা হয়।

সামাজিক স্ট্যাটাস হয়ে গেছে এখন সিজারে বাচ্চা নেওয়া! যা বর্তমান নারীদেহ কে ধ্বংস করে দিচ্ছে নীরবে। চিকিৎসকরা সবই জানেন, বুঝেন কিন্তু হাঁসপাতালের মালিকদের খুশী রাখতে এবং নিজেদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে তারা করেন নারীর পেট কাঁটা বিজনেস ।

সুত্র: ঢাকা মেডিকেল কলেজ, পিজি হাঁসপাতালের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক।
তথ্য: Independent Tv (তালাশ)
বিশ্লেষণ: আরিফ রহমান।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

No comments:

Post a Comment