Saturday, February 2, 2019

সস্তা দামের আকর্ষণীয় রংয়ের আইসক্রিম খাওয়া থেকে শিশুদের বিরত রাখুন!


আসবাবের রঙ মিশিয়ে আইসক্রিম! স্বাস্থ্যঝুকিতে শিশু!

ইকবাল মেহমুদ, স্টাফ করেসপনডেন্ট: শিশু রায়লা স্কুলে যায় প্রতিদিন। টিফিন নিতে ভুলে না। কিন্তু ওই টিফিনের সাথে প্রতিদিনই একটি আইসক্রিমের বায়না থাকে তার। মায়ের বকুনি কিংবা বাবার আদর-মাখা কথায় মন ভরে না রায়লার। তার চাই অন্তত একটি আইসক্রীম। উপায় কি? অবশেষে আইসক্রীম কিনে দিয়েই হতভাগা মা-বাবার মুক্তি। এমন চিত্র প্রতিদিনই চোখে পড়ে নগড়জুড়ে।

বস্তিজুড়ে দুই থেকে পাঁচ সাত টাকা মূল্যমানের আইসক্রীম খাওয়ার উৎসব চলে! বাহারি রং। মিষ্টি স্বাদ। ঠান্ডা পরশ। আর কি? কি খাই। কিংবা কেন খাই তার উত্তর নেই আমাদের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন-"খাদ্য আইনের ছোট ছোট ফাঁক গলে ‘বিষের টুকরা’ আইচক্রীম তৈরী হয়। বাজারজাত হয়।" এর ক্ষতিকর বিষয়ে না জানা কিংবা স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে প্রতিনিয়তই আমাদের শরীরে ঢুকছে নিরব ঘাতক বিষাক্ত রঙ। ক্ষতিকর ঘনচিনি।

জানা যায়, লাইসেন্স নেয়া হয় বরফ কারখানার। পরে ওই বরফ কারখানায় তৈরী হয় আইসক্রীম। এতে ব্যবহার করা হয় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ঘনচিনি ও আসবাবপত্রে ব্যবহৃত রং। রোববার জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর চান্দগাঁও থানার নূর নগর হাউজিং এলাকায় কোহিনূর আইসবার নামের একটি কারখানার সন্ধান পায়। প্রায় ২০ বছর ধরে চলে আসা কারখানা পরে বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমান আদালত।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, “বরফের লাইসেন্সের নামে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া নোংরা পরিবেশে ক্ষতিকর রং আর ঘনচিনি দিয়ে আইসক্রিম বানিয়ে বিক্রয় করছিল প্রতিষ্ঠানটি। এসব অপরাধে কারখানাটি বন্ধ করে দিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

একই সময় ওই এলাকায় ‘লাকি আইসবার’ নামের আরেকটি কারখানাও একই অপরাধে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। অভিযানে বিপুল পরিমাণ আইসক্রিম নালায় ফেলে ধ্বংস করা হয়।
তবে বিএসটিআই কিংবা বিশুদ্ধ খাদ্য আইন যথাযথ প্রয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন সচেতন মহল। নাগরিক সমাজ সচেতনতার প্রয়োজন বলে মনে করেন তথ্যাবিজ্ঞ মহল।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

No comments:

Post a Comment