স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস এর "মা ও শিশু" বিভাগে একজন সফল মা/ বাবা হওয়ার আগাম নির্দেশনা ও শিশু লালনপালন বিষয়ে অনন্য নির্দেশনা পাবেন।
Thursday, January 31, 2019
Wednesday, January 30, 2019
যে ৭টি কারণে আপনার গর্ভের শিশুটির ক্ষতি হতে পারে!
সন্তান জন্মদান প্রতিটি নারীর জন্য বিশেষ মুহূর্ত। অনাগত সন্তানকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিটি মায়ের থাকে অপ্রাণ চেষ্টা। প্রতিটি মা-ই চান তার সন্তানটি সুস্থ থাকুক। কিন্তু কিছু কাজ আছে যা করে নিজের অজান্তে অনাগত শিশুটির ক্ষতি করে থাকেন মায়েরা। বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু কাজ খুঁজে বের করেছেন যা অনাগত শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
১। দূষণ
গবেষণায় দেখা গেছে যেসকল গর্ভবতী মহিলারা দূষণযুক্ত এলাকায় বেশি সময় কাটিয়ে থাকেন, তারা তুলনামূলকভাবে কম ওজনের শিশু জন্ম দিয়ে থাকেন। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে প্রচুর পরিমাণে ফল এবং সবজি খান।
২। প্রচুর কফি পান
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ক্যাফিন আপনার গর্ভপাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে থাকে। দিনে দুই কাপের বেশি কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অতিরিক্ত কফি মায়ের হার্টবিটের হার বৃদ্ধি করে রক্তনালীতে জটিলতা সৃষ্টি করে থাকে। যা আপনার শিশুর উপর প্রভাব ফেলে থাকে।
৩। প্রসেসড খাবার
প্রসেসড খাবার বিশেষভাবে মাংস গর্ভবতী মহিলার জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর। এতে লিসটিরা নামক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা শিশুর মৃত কারণও হতে পারে। তাই এইসময় প্রসেসড খাবার বিশেষত মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৪। ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস সূর্য। তবে অনেকই এই সময় ঘরের বাইরে যেতে চান না। অথচ সূর্যের আলোর ভিটামিন ডি অনেক বেশি প্রয়োজন মা এবং শিশুর জন্য। University of Calgary এক সমীক্ষায় দেখেছেন ভিটামিন ডি এর অভাবে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কম ওজনের শিশু জন্মদান সহ নানা সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
৫। অ্যান্টিডিপ্রেশন ওষুধ
গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভবতী মহিলাদের একটি বড় অংশই অবসাদ বা বিষন্নতায় ভুগে থাকেন। এই বিষণ্ণতা কাটানোর জন্য অনেক সময় তারা অ্যান্টিডিপ্রেশন ওষুধ খেয়ে থাকেন। এই ওষুধগুলো মেয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গর্ভপাত, দেরী ডেলিভারী, জন্মগত ত্রুটিসহ নানা সমস্যা হয়ে থাকে।
৬। পরোক্ষ ধূমপান
ধূমপান সুস্থ মানুষের জন্য ক্ষতিকর। আর তা গর্ভবতী মহিলার জন্য তো আরও বেশি ক্ষতিকর। গর্ভকালীন সময় সেকেন্ড হ্যান্ড ধূমপান বা পাশে থাকা কারো সিগারেট থেকে আসা ধোঁয়াও অনাগত শিশুর জন্য ক্ষতিকর। এতে শিশুর শ্বাসকষ্টের সমস্যা সহ অ্যাজমা সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে।
৭। অতিরিক্ত ওজন
গর্ভকালীন সময় অতিরিক্ত ওজন শিশুর ডায়াবেটিস সহ নানা সমস্যা তৈরি করে থাকে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে গর্ভকালীন সময় অতিরিক্ত মোটা মহিলাদের শিশুর অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। ব্যায়াম আপনার সঠিক ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করবে। Dr. Jennifer Wu, an OB-GYN at Lenox Hill Hospital in New York এর মতে সপ্তাহে চারবার ২০ মিনিট করে হাঁটুন। এটি আপনার ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।
(সংগৃহীত)
ভালো থাকুন | School of Awareness
স্কুল থেকে শিশু অপহরণ রোধ করার একটি পদ্ধতি!
কিছুদিন আগে ফেসবুকে বিষয়টি পড়েছিলাম। আজ মনে পড়লো তাই লিখতে বসলাম।
একদিন স্কুলে এক শিশুর মা একটু দেরিতে তাকে নিতে আসে, সেই সুযোগে একজন সম্ভাব্য অপহরণকারী এসে শিশুটিকে বলে যে সে তার মামা হয় এবং তার মা আসতে পারবে না বলে তাকে পাঠিয়েছে।
শিশুটি লোকটিকে পাসওয়ার্ড জিজ্ঞেস করলো এবং লোকটি কিছুই বলতে পারলো না; শিশুটি তখন গেট থেকে দৌড় দিয়ে স্কুলের ভেতরে গিয়ে তার শিক্ষককে জানালো।
শিশুটি ও তার মা আগে থেকেই নিজেদের মধ্যে "পাসওয়ার্ড" ঠিক করে রেখেছিল। আপনারাও এটা করতে পারেন। পাসওয়ার্ড এমন হতে পারে "রাতে চাঁদ দেখবো", "সাত ভাই চাম্পা", "ফুলকুমারীর বিয়ে হলো" ইত্যাদি।
ভালো থাকুন | School of Awareness
শিশু হারিয়ে গেলে কী করবেন: সন্ধান করার ফলপ্রসূ পদ্ধতি!
আপনি প্রথমত, থানায় জানাবেন এবং তথ্য দিবেন। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিবেন ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেন। ঘটনা নিজ এলাকায় ঘটে থাকলে এলাকার ডিস লাইন সাপ্লায়ার এর সাথে কথা বলে তার সাহায্য নিতে পারেন এবং অন্য এলাকায় হারিয়ে গেলে সেই এলাকার ডিস লাইন সাপ্লায়ার এর সাহায্য নিতে পারেন।
ফেসবুকে বিষয়টি দিতে পারেন এমন একটি নির্ভরযোগ্য ও সহায়ক ফেসবুক গ্রুপ হলো: "Evergreen Bangladesh" যার URL হলো: facebook.com/groups/1682690705276314
এছাড়াও ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ আপনাকে সাহায্য করবে।
এই সমস্যা লাইফে হতে পারে ভেবে আগে থেকেই সচেতন হওয়া ভালো; শিশুকে সম্ভবপর বয়স হলেই তাকে "গ্রাম ও উপজেলা"র নাম বলতে শেখান।
ভালো থাকুন | School of Awareness
Thursday, January 24, 2019
নবজাতকের যত্ন: যা কিছু মানা
জন্মের পর শ্বাস না নিলে পা নাকি ওপরে ধরে নবজাতককে উল্টো করে ঝোলাতে হয়। কেউবা বাচ্চার পিঠে জোরে থাপ্পড় দেন কাঁদানোর জন্য। এসব আচরণ কিন্তু বিপজ্জনক। নবজাতকের দেহের ত্বকে যে আবরণ থাকে, তাকে অনেকে অপবিত্র মনে করেন। তাই জন্মের পরপর পবিত্র করার উদ্দেশ্যে গোসল করিয়ে দেন। আসলে গোসল করাতে হবে তৃতীয় দিন বা তারও পরে।
জন্মের পরপর মুখে মধু বা চিনি দিলে শিশুর কথা মিষ্টি হবে—এমন ভ্রান্ত ধারণাও আছে। জন্মের পর বেশি প্রয়োজন মায়ের বুকের প্রথম দুধ, যা শাল দুধ বলে পরিচিত। অনেকে নবজাতকের ঘরে আগুন কিংবা ধূপ জ্বালান। এতে শিশু অমঙ্গল থেকে রক্ষা পায় বলে তাঁদের ধারণা। কিন্তু এতে শিশুর শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন অসুখের কারণ হতে পারে।
যখন-তখন শরীরের যত্রতত্র চুমু দিলে বা কোলে নিলে নবজাতকের শরীরে রোগজীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। বাইরে থেকে এসে হাত-মুখ না ধুয়ে শিশুকে কোলে নেওয়া কিংবা চুমু দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। সবারই উচিত শিশুকে স্পর্শ করার আগে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া।
বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে অনেকে শিশুর কপালে বা মাথায় ও চোখে তিলক বা কাজল দেন। এই কাজল বা তিলক থেকে চোখে সংক্রমণ হতে পারে। হতে পারে কাশি, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টও।
বহুকাল ধরে চলে আসা নানা প্রথার অনেকগুলোই হয়তো নির্দোষ, কিন্তু ক্ষতিকর অভ্যাসও কম নয়। তাই এসব বিষয়ে সতর্ক থাকাই ভালো।
- ডা. আবু সাঈদ
শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
সুত্র: দৈনিক 'প্রথম আলো'।
ভালো থাকুন | School of Awareness